খুলনায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, অনির্দিষ্টকাল তেল উত্তোলন বন্ধ

খুলনায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, অনির্দিষ্টকাল তেল উত্তোলন বন্ধ

ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের কমিশন এবং ট্যাঙ্কলরি ভাড়া কমানোর প্রতিবাদে তিন দফা দাবিতে খুলনায় ধর্মঘট পালন করছে জ্বালানি তেল ও ট্যাঙ্কলরি মালিকরা। এতে খুলনার তিনটি ডিপো থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে তারা।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে এ ধর্মঘট পালন করছে তারা। বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জ্বালারি তেলের কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাঙ্কলরি ভাড়া বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছি। অথচ, সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে তেলের দাম কমানোর পাশাপাশি আমাদের কমিশন ও ট্যাঙ্কলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল রাতে জ্বালানি তেলের মূল্য পাঁচ টাকা কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি তেলের কমিশন লিটারে ১৩ পয়সা এবং ট্যাঙ্কলরি ভাড়া ৩ পয়সা কমানো হয়েছে; যার প্রতিবাদে ভোর ৬টা থেকে হঠাৎ জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় ট্যাঙ্কলরিতে তেল পরিবহন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোড়ল আবদুস সোবাহান বলেন, ব্যবসা করার কোনো পরিবেশ নেই। এখনই ৮-৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়া লাগছে। আরও অনেকেই লাইসেন্স নিতে বলছেন। এত লাইসেন্স কেন প্রয়োজন, কী কাজে লাগবে। এ ছাড়া তেলের কমিশন বাড়ানো এবং ট্যাঙ্কলরি ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। অথচ, তেলের দাম যখন বাড়ল তখন কমিশন সেই পর্যায়ে বাড়ানো হয়নি। অথচ পাঁচ টাকা দাম কমানোর সাথে কমিশন ও ট্যাঙ্কলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায় কী করছে, কী ভাবছে আমাদের বোধগম্য নয়।

বাংলাদেশ ট্যাঙ্কলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম কাবুল বলেন, তিন দফা দাবি জানিয়ে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের দাবির বিষয়ে সুরাহা হবে, এমন কথা বলা হয়েছে। অথচ, রাতে দেখলাম কমিশন বাড়ানোর স্থানে উল্টো কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্যাঙ্কলরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সকালে খুলনার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ব্যবসায়ীরা।

সূত্র: আরটিভি