হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণের পৃথক তিন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণের পৃথক তিন মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণের পৃথক তিন মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ঢাকার  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামিদের এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি মখলেছ উদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শামসুল হক, মো. রাসেল, শহিদুল ও সুজন। এদের মধ্যে শহিদুল ও সুজন অপহরণের পর হত্যা মামলার আসামি।

অপহরণের পর হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মিরপুরে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র মাহিনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ মামলা করেন ভুক্তভোগীর পিতা মহিউদ্দিন। এরপর তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল আসামি শহিদুল ও সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখির করে পুলিশ। ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। 

আরেক মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি শামসুল হক মিরপুরে একটা বাসার দারোয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শামসুল হক ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট ভুক্তভোগী নার্সারির এক ছাত্রীকে বিস্কুট কিনে দেওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে মিরপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০২১ সালের ১৪ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

অপর এক মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি রাসেল ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাদি হয়ে শাহ আলী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষ ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র  দাখিল করে পুলিশ। ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এ মামলায় ছয় জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

সূত্র: বাসস