ইবিতে শিবিরকর্মী দাবি করে দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

ইবিতে শিবিরকর্মী দাবি করে দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

ইবিতে শিবিরকর্মী দাবি করে দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের মারধর

শিবিরকর্মী দাবি করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী অনুষদ ভবনে গিয়ে দুইজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। পরে ওই দুই শিক্ষার্থী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় তারা অনুষদ ভবনের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে শিবিরকর্মীদের খোঁজ করেন ও দরজায় আঘাত করেন। এরপর মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের ভেতরে শোডাউন দেন। এসময় শাখা ছাত্রলীগ নেতা বিপুল খান, কামরুল ইসলাম অনিক, শাহজালাল সোহাগ, জাকির হোসেন, শাহীন আলম, ইসতিয়াক শাওন, শিমুলসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থী হলেন আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জামাল ও দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী একরাম। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি, তারা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। ক্যাম্পাসে মিটিং করছিল এমন খবর পেয়ে তাদেরকে ধাওয়া দেওয়া হয়। 

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কামরুল ইসলাম অনিক বলেন, যাকে মারা হয়েছে সে শিবিরের সাথে জড়িত। আমাদের কাছে তথ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি ও সম্পাদক অনুষদ ভবনে মিটিং করছে। আমরা যাওয়ার আগেই নেতারা পালিয়ে যায়। ওদেরকে পেলে ধাওয়া দেওয়া হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কয়েকজন অনুষদ ভবনে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠিত হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে তাদেরকে ধাওয়া করা হয়। মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই।

এদিকে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন ওই দুই শিক্ষার্থী। জামাল বলেন, ক্লাস শেষে ফেরার পথে আমাকে অনুষদ ভবনে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে। শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই বলার পরও তারা আমার উপর চড়াও হয়। সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও একটা সংগঠনের তকমা দিয়ে যেভাবে হেনস্তা করা হলো, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।' 

একরাম বলেন, 'কোন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নাই। আমি পরীক্ষা দিয়ে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলাম। তখন আমাকে কয়েকজন বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করে। একপর্যায়ে কোন কারণ ছাড়াই মারধর করে।'

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম বলেন, এরকম ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। এই প্রথম শুনলাম।