করোনা মহামারির ‘শেষ দেখা যাচ্ছে’ : ডব্লিউএইচও প্রধান

করোনা মহামারির ‘শেষ দেখা যাচ্ছে’ : ডব্লিউএইচও প্রধান

ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস

নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বকে মহামারি শেষ করার সুযোগটি কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

২০১৯ সালের শেষের দিকে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা গত সপ্তাহে ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানান ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কখনই মহামারি শেষ করার মতো ভালো অবস্থানে ছিলাম না। আমরা এখনও সেখানে নেই, তবে শেষ দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু বিশ্বের এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচও প্রধান।

গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘যদি আমরা এখন এই সুযোগটি গ্রহণ না করি, তাহলে আমরা আরও ধরন, আরও মৃত্যু, আরও বিপত্তি এবং আরও অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে থাকব।’

ডব্লিউএইচও-এর কোভিড-১৯-এর মহামারি সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা আগের সপ্তাহে কমেছে ১২ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৯ জন, যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২২৪ জনের, যা আগের দিনের তুলনায় কমেছে প্রায় এক শ।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ২৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৫ লাখ ২২ হাজার ৫৭১ জনের।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে, একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

সূত্র: আরটিভি