মাশা আমিনির মুত্যুর বিক্ষোভকালে নিহত ৩

মাশা আমিনির মুত্যুর বিক্ষোভকালে নিহত ৩

সংগৃহীত

পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকালে তিনজন নিহত হয়েছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুদিস্তান প্রদেশের গভর্নর ইসমাইল জারেই কুশা। তবে তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী চক্র তিনজনকে হত্যা করেছে।

গভর্নর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক দিনের 'অবৈধ বিক্ষোভকালে সন্দেহজনকভাবে' তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব লোককে গুলি করে হত্যা করেছে রাষ্ট্রবিরোধী চক্র। যেসব আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিতে এসব লোক নিহত হয়েছে, সেগুলো এই প্রদেশের নিরাপত্তা বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে না।

গভর্নর জানান, একজন নিহত হয়েছে দিবান্দারেহ, অপরজনকে সাকাজের কাছে একটি গাড়িতে পাওয়া যায়, তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু 'সন্দেহজনক।'

গভর্নর বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী গ্রুপগুলো মাশা আমিনির নামকে কোড হিসেবে তাদের নিজস্ব লক্ষ্য পূরণে ব্যবহার করতে পারে বলে পরিবারগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি দৃশ্যত আমিনির সমাধিতে 'তুমি মারা যাওনি, তোমার নাম কোডে পরিণত হবে' বলে যে লেখাটি রয়েছে, তার কথা উল্লেখ করেন।

গত সপ্তাহে আমিনি তার সাকাজের বাড়ি থেকে বের হয়ে তেহরানে গিয়েছিলেন। এসময় 'অযথাযথ' হিজাব পরার কারণে তথাকথিত নীতি পুলিশ তাকে আটক করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, একই দিনে একটি 'গাইডেন্স সেন্টারে' সে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটার্ক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক দিন পর সেখানে তার মৃত্যু হয়।

তার পরিবার তেহরানের পুলিশপ্রধানের বক্তব্য গ্রহণ করেনি। পুলিশ দাবি করে, তাকে প্রহার করা হয়নি। বরং তার মৃগী রোগ ও ডায়াবেটিস ছিল। তিনি হিজাব পরার ইরানি আইন লঙ্ঘন করেছেন।

আমিনির মৃত্যুর পর থেকে বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রথমে তার জন্মনগরী সাকাজে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানেই তাকে কবর দেয়া হয়। পরে কুর্দিস্তানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। টুইটারে আমিনির নাম ৫০ লাখের বেশিবার উল্লেখ করা হয়েছে। ইরানের আরো অনেক নগরীতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

বিক্ষোভকালে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে তেহরানের গভর্নর মোহসেন মানসুরি মঙ্গলবার জানান, গ্রেফতার হওয়া লোকদের মধ্যে বিদেশী নাগরিকও রয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা