সাংবিধানিকভাবে ইসির কথা সরকার মানতে বাধ্য

সাংবিধানিকভাবে ইসির কথা সরকার মানতে বাধ্য

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর

ইসি যা বলবে সাংবিধানিকভাবে সরকার তা মানতে বাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারি দলের প্রতি আবেদন হচ্ছে, তারা তো দেশ চালায়। নিয়মকানুন মানতে তারা আরো বাধ্য। আমরা যা বলব সাংবিধানিকভাবে তা মানা তাদের দায়িত্ব। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) চিঠি দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মো. আলমগীর বলেন, জেলা পরিষদ ও গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করতে ক্ষমতাসীন দলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ডিসিকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মো. আলমগীর বলেন, কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘন মেনে নিতে রাজি নয়। কেউ ভাঙলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে, নির্বাচন কর্মকর্তাদের যে আইন রয়েছে আমরা তা প্রয়োগ করতে পিছপা হব না।

আইন প্রণেতারাই তো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই তো বললাম, আমরা ডিসি ও এসপিদের বলেছি লঙ্ঘনকারী যেই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবেন। দুই নম্বর হলো আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্যও আইন রয়েছে। দায়িত্ব পালনকালে কাউকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে দেখলে আমরা আমাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারদলীয় নেতারা নিজ নির্বাচনী এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে- জাতীয় পার্টির এমন অভিযোগের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, আমরা এরই মধ্যে ডিসি, এসপিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আমরা কড়া নির্দেশ দিয়েছি, সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের বলতে হবে, আপনি নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারবেন না। কেননা, সংসদ সদস্যরা তো জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার নন। অতত্রব, ভোটার হিসেবে তাদের সেখানে থাকারও কোনো সুযোগ নেই।

সূত্র: নয়াদিগান্ত