ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরিদর্শনে যাবে রাশিয়ান ডুবুরিরা

ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরিদর্শনে যাবে রাশিয়ান ডুবুরিরা

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রেল ও সড়ক সংযোগ সেতুটি বিস্ফোরণের ফলে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা রোববার পরিদর্শনে যাবে রুশ ডুবুরিরা। শনিবার সেতুতে বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন।

সেতু বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেনকে দোষারোপ করেনি রাশিয়া। অপরদিকে এই ঘটনার পর ইউক্রেনের কর্মকর্তারা উল্লাসিত হয়ে বার্তা দিলে দোষ স্বীকারও করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ।

রাশিয়া ও রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের মধ্যে সংযোগের এটাই একমাত্র সেতু যেটি ক্রিমিয়াকে নিজেদের এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করার চার বছর পর ২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চালু করেন।

দক্ষিণ ইউক্রেনে যে রুশ বাহিনী লড়াই করছে, কার্চ ব্রিজ নামের এই সেতু তাদের সামরিক রসদ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করার গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ। ফলে ইউক্রেন বাহিনীর এটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটা সামরিক টার্গেট।

রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, যেভাবে একটি লরিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেতুটি ধ্বংস করা হয়েছে, সেটি একটি সন্ত্রাসী তৎপরতা। তারা বলেন, লরির বিস্ফোরণ থেকেই তেলবাহী ট্রেনে আগুন ধরেছে এবং সেতুর সড়কপথ সমুদ্রে ভেঙ্গে পড়েছে।

এদিকে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে ডুবুরিরা স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় কাজ শুরু করবে। আর দিনের শেষ নাগাদ জলরেখার উপরে আরো বিস্তারিত জরিপ শেষ করবে বলে আশা প্রকাশ করছে।

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এটি অপ্রীতিকর, তবে মারাত্মক নয়।’

ক্রিমিয়ার রাশিয়ান গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অবশ্যই, এই ঘটনায় আবেগপ্রবণ হয়েছি। এবং প্রতিশোধ নেয়ার একটি ইচ্ছাও আছে।’

কিভাবে হলো বিস্ফোরণ?

ইউক্রেন অধিকৃত অঞ্চল থেকে এই সেতু এক শ’ মাইলেরও বেশি দূরে।

একজন বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এই বিস্ফোরণ ঘটেনি বলেই তাদের অনুমান।

‘বিস্ফোরণ থেকে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়া কোনো রকম ভগ্নাংশ বা টুকরো যেহেতু নেই, তাই আকাশ থেকে ছোড়া কোনো সমরাস্ত্র দিয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি বলে মনে হচ্ছে,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সেতুর নিচ থেকে চালানো পূর্ব-পরিকল্পিত হামলা সম্ভবত এই বিস্ফোরণের কারণ।’

‘আমার সন্দেহ সেতুর সড়কপথে এবং ট্রেনের ওপরে রাখা বিস্ফোরক ফাটানো হয়েছে রেডিও সঙ্কেত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।’

এটি ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু এবং নির্মাণের সময় রাশিয়া এটিকে ‘এই শতাব্দীর সেরা নির্মাণ কাজ’ বলে ব্যাখ্যা করেছিল।

সূত্র: আল-জাজিরা