জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হলো বাংলাদেশ

সংগৃহীত

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। নির্বাচনে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৬০টি ভোট।

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ভোটে সদস্য নির্বাচিত লাল সবুজের পতাকার এই দেশ।

মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় ভোটের ফলাফল। সংস্থাটি জানায়, ২০২৩-২৫ মেয়াদে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশ সদস্য নির্বাচিত হয়। দেশগুলো হলো, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, চিলি, কোস্টারিকা, জর্জিয়া, জার্মানি, কিরগিস্তান, মালদ্বীপ, মরক্কো, রোমানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান ও ভিয়েতনাম।

মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে বাংলাদেশ ১৮৯টি ভোটের মধ্যে ১৬০টি ভোট পেয়েছে, যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ। এ অঞ্চলে বাংলাদেশসহ মোট ৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এ অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনটি নির্বাচিত সদস্য হলো মালদ্বীপ, তাদের ভোট সংখ্যা-১৫৪টি; ভিয়েতনাম পেয়েছে ১৪৫টি ভোট এবং কিরগিস্তান পেয়েছে ১২৬টি। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ১২৩, আফগানিস্তান ১২, বাহরাইন ১ এবং মঙ্গোলিয়া ১ ভোট পেয়েছে। নির্বাচনে মোট ভোট ছিল ১৯০টি। এর মধ্যে ভোট বাতিল হয়েছে একটি।

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের মোট সদস্য পদ ৪৭টি। বছরের শেষের দিকে সংগঠনের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়। সর্বোচ্চ ১৮ আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে এ পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশ পরপর দুবার টানা ছয় বছর সদস্য হয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর সদস্য হিসেবে কাজ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২২ সাল ছাড় দিয়ে ২০২৩-২৫ এই তিন বছরের মেয়াদে সদস্য পদ পেয়েছে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বিজয়। মানবাধিকার বিষয়ে বিশ্ব বাংলাদেশের ওপর আস্থা রাখে, এ জয়ের মাধ্যমে এটাই প্রতিফলিত হয়।