রাশিয়ার সাথে সৈন্য সমাবেশ করতে শুরু করেছে বেলারুশ

রাশিয়ার সাথে সৈন্য সমাবেশ করতে শুরু করেছে বেলারুশ

রাশিয়ার সাথে সৈন্য সমাবেশ করতে শুরু করেছে বেলারুশ

ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে শিল্পোন্নত জি-সেভেন দেশগুলো বলেছে, যতদিন দরকার, ততদিন তারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে।জরুরি একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তারা বলেছে, ইউক্রেনের জন্য তারা সামরিক, কূটনৈতিক আর মানবিক সহায়তা দিয়ে যাবে।

ন্যাটোও জানিয়েছে, যতদিন প্রয়োজন, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবে। রাজধানী কিয়েভ ও পুরো ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। মঙ্গলবারও হামলা চলেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার পাল্টা জবাব হিসাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হচ্ছে। ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া।রাশিয়ার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ওই বৈঠকে বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেমের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেই সাথে বেলারুশ সীমান্তে ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক’ মোতায়েন দাবি করেছেন তিনি।তবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের বা বেলারুশ সীমান্তে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য জেলেনস্কির দাবির জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি জি-সেভেন নেতারা দেননি বলে জানা গেছে।

রাশিয়ার সাথে মিলে সৈন্য সমাবেশ করছে বেলারুশ
সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের পর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে বেলারুশের বাহিনী মোতায়েন করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান আন্দ্রেই কার্তাপোলভকে উদ্ধৃত করে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বেলতা সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, পোল্যান্ডসহ অন্যসব দেশের সামরিক হুমকি মোকাবেলা করার জন্যই এই আঞ্চলিক বাহিনীকে সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ইউক্রেনের বাহিনীর অগ্রাভিযান এবং ক্রাইমিয়ার সেতুতে হামলার কারণে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ এই দেশটি।যৌথ বাহিনীতে অন্তত এক লাখ সেনা থাকবে, যাদের বেশিরভাগ বেলারুশের হবে বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।

তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনায় নিমরাজি রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, প্রস্তাব পেলে জি-২০ সম্মেলন চলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠকের বিষয় বিবেচনা করবেন ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনার কোনো প্রস্তাব রাশিয়া পায়নি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এই খবর দিয়েছে।তিনি বলেছেন, তুরস্ক যদি পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চায়, তাহলে সেটি তারা আসতানায় দুই দেশের শীর্ষ নেতার বৈঠকে তুলতে পারে।

সের্গেই লাভরভ অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে প্রকাশ্যে না হলেও বহুদিন ধরে আমেরিকানরা অংশ নিয়ে আসছে। তারা কিয়েভের সরকারকে অস্ত্র ও স্যাটেলাইটের তথ্যসহ গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে।

তেলের উৎপাদন কমালে 'পরিণতি' ভোগ করতে হবে
সৌদি নেতৃত্বাধীন ওপেক+ দেশগুলোর তেলের উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সৌদি আরবকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।

নভেম্বর থেকে প্রতিদিন দুই মিলিয়ন ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে ওপেকভুক্ত ১৩টি দেশ ও তাদের সহযোগী অপর ১০ দেশ। এর ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।সিএনএনকে দেয়া একটি বিরল সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, আমি কী বিবেচনা করতে পারি আর কী ভাবছি, সেটা বলবো না। কিন্তু এক্ষেত্রে (তেলের উৎপাদন কমানো) অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে।

কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে তা তিনি বলেননি।তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারেন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শাইখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান একটি সফরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরব আমিরাত অনুসরণ না করার সিদ্ধান্তে রাশিয়া সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

সূত্র : বিবিসি