বন্দী অবস্থায় কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতার মৃত্যু

বন্দী অবস্থায় কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতার মৃত্যু

আলতাফ আহমদ শাহ - ছবি : সংগৃহীত

জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতা আলতাফ আহমদ শাহ। তিনি যকৃতের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছে পরিবার।

গত পাঁচ বছর ধরে তিনি দিল্লির তিহার জেলে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ এনেছিল ভারত সরকার। প্রথমে তাকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু পরে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত তাকে এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বলে। তাকে কয়েকদিন আগে এইমসে ভর্তি করা হয়।তার মেয়ে রুয়া শাহ টুইট করে জানিয়েছেন, ‘আব্বু এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’

৬৬ বছর বয়সী আলতাফ শাহ কাশ্মিরের শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাকামী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাতা। গিলানি গতবছর ১ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন।

আলতাফ শাহের পরিবারের অভিযোগ, ক্যান্সারের জন্য যে চিকিৎসার দরকার ছিল, তা হয়নি। পরিবার দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার পরই তাকে এইমসে ভর্তি করা হয়। এনআইএ যখন কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাকামী নেতাদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় করে, তখন আলতাফ শাহকেও গ্রেফতার করা হয়।

তাকে নিয়ে গত দুই বছরে তিনজন বিচ্ছিন্নতাকামী নেতার বন্দী অবস্থায় মৃত্যু হলো। এর আগে গত মে মাসে মোহাম্মদ আশরাফ খান জম্মুতে বন্দী থাকার সময় মারা গিয়েছিলেন। তার আগে জামাত-ই-ইসলামীর সাথে যুক্ত এক বিচ্ছিন্নতাকামী নেতার উত্তর প্রদেশে মৃত্যু হয়।

গত কয়েকদিন ধরেই তার মেয়ে একের পর এক টুইট করে আলতাফ শাহের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানাচ্ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেন, শাহকে স্বাস্থ্যের কারণে মুক্তি দেয়া হোক, যাতে তিনি মুক্ত অবস্থায় মারা যেতে পারেন।

গত ৩ অক্টোবর দিল্লি হাইকোর্ট তাকে এইমসে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে, তিনি নানা ধরনের অসুখে ভুগছেন। তার উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। এটা তার মৌলিক অধিকার।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ আলতাফ শাহের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন।

সূত্র : ডয়চে ভেলে