মানবিক বিপর্যয়ের মুখে হাইতি : জাতিসঙ্ঘ

মানবিক বিপর্যয়ের মুখে হাইতি : জাতিসঙ্ঘ

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে হাইতিতে বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধী চক্রের সহিংসতা, আকাশচুম্বী মুদ্রাস্ফীতি এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো পেতে অভাব, দেশটিকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলেছে।

জাতিসঙ্ঘের সাম্প্রতিক এক খাদ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, হাইতির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বা ৪৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ ক্ষুধার জরুরি পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং অনেক লোক কোনো একটি দিনের মতো খাওয়ার জন্য কিছু পর্যাপ্ত পরিমাণ পাচ্ছেন না।

হাইতির বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যঁ-মার্টিন বাউয়ার বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় খাবারের দাম ৬৩ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।

তিনি বলেন, জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে এবং এক গ্যালন তেলের দাম প্রতি লিটার ১০ ডলারেরও বেশি। তিনি বলেন, এর ফলে হাজার হাজার মানুষের পক্ষে কাজ করতে যাওয়া এবং জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বাউয়ার বলেন, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের সিটি সোলেইলের শহরতলি এলাকায় সংঘবদ্ধ সহিংসতায় ২৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক লকডাউন চলছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কলেরায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৭ জন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে যার মধ্যে ৩৫ জনের নিশ্চিতভাবে কলেরা হয়েছে এবং ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী এক লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। সংস্থার মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেছেন, কলেরার প্রাদুর্ভাবের কারণে শিশুরা বিশেষভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, হাইতির অবস্থা খারাপ এবং তা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। তারা বলছেন, হাইতি এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যে এখন দেশটিকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।