পাবনায় দু’টি বিরিয়ানি হাউজে হামলায় মালিকসহ আহত ৫

পাবনায় দু’টি বিরিয়ানি হাউজে হামলায় মালিকসহ আহত ৫

পাবনায় দু’টি বিরিয়ানি হাউজে হামলায় মালিকসহ আহত ৫

মোবাইলের ব্যাটারিকে কেন্দ্র করে পাবনা মধ্য শহরে অবস্থিত দু’টি বিরিয়ানি হাউজে হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ অক্টোবর ) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে  পাবনা বিরিয়ানি হাউজ ও রাজ বিরিয়ানি হাউজে দফায় দফায় এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় মুহূর্তে মধ্যে আশ পাশের দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। ভীত সন্ত্রস্ত লোকজন দিগি¦দিক ছুঁটাছুটি করতে থাকে।  হামলায় বিরিয়ানি হাউজের মালিকসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের ইন্দিরা মোড়ে পাবনা বিরিয়ানি হাউজ ও রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্যারাডাইজ এর দক্ষিণ পাশে অবস্থিত রাজ বিরিয়ানি হাউজে এই তান্ডব চালানো হয়।

আহতরা হলেন- দু’টি বিরিয়ানি হাউজের মালিক বকুল হোসেন (৩৮), দোকানের কর্মচারী রাহাত (১৩), ফয়সাল (১৭), মমিনুল, নয়ন ও এক কাস্টমার।

আহত মালিক ও কর্মাচারীরা জানান, পাশের শাহ আলম মার্কেটের নওশের ইলেকট্রনিক্স থেকে মোবাইল চার্জার  ক্রয় করেন পাবনা বিরিয়ানি হাউজের কর্মচারী বাদল। দু’দিন পর চার্জারটি নষ্ট হওয়ায় নওশের ইলেকট্রনিক্সের মালিক নওশের এর সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। পরে নওশের ১৫/২০ জন লোক নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথমে পাবনা বিরিয়ানি হাউজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

তারা আরও জানান, এই ঘটনায় বিরিয়ানি হাউজের মালিক বকুল বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে। বকুলের আরেক রেস্টুরেন্ট রূপকথার রোডের রাজ বিরানি হাউজের দ্বিতীয় তলায় এই সমঝোতা বৈঠক চলছিল। বৈঠক চলাকালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নওশের এর  লোকজন পাবনা বিরিয়ানি হাউজ ও রাজ বিরিয়ানি হাউজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আক্রমণকারীদের বাধা দিলে রেস্টুরেন্টের মালিক ও কর্মচারীদের পিটিয়ে আহত করে।

এ ব্যাপারে নওশের ইলেকট্রনিক্স এর মালিক বকুল হোসেন বলেন,‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলেরা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।’

এ ঘটনায় ইন্দিরা মোড় ও রূপকথা রোডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন এদিকে ওদিকে ছুটাছুটি করে। মুহূর্তেই  দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, মোবাইলের চার্জার কেনার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ উভয় পক্ষকে নিবৃত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষ থেকেই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা।