জ্বালানি সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রুনাই

জ্বালানি সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রুনাই

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালাম জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হয়েছে।

রোববার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দু’নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রকাশ করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য সম্মত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জ্বালানির একটি স্থিতিশীল ও মূল আঞ্চলিক রফতানিকারক হিসেবে ব্রুনাই দারুসসালামের অবস্থানের ভিত্তিতে দুই নেতা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হন।’

আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর, দু’দেশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ চারটি সমঝোতা স্মারকেও (এমওইউ) সই করেছে।

চুক্তিটি হলো- বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো- ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’, ‘তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক' এবং ‘নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং-এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’।

আলোচনায়, দু’পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য কাজ করার জন্য তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমানে যা সম্ভাবনার চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করছে।

দু’দেশ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্রুনাই দারুসসালামের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার জন্য একটি পথ অনুসন্ধানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাকে স্বাগত জানায়।

উভয় নেতা হালাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির বিষয়েও সম্মত হন।

বাংলাদেশ ব্রুনাই দারুসসালামকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগের সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রুনাই দারুসসালাম প্রস্তাবটি নোট করেছে এবং উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে।

ব্রুনাই দারুসসালাম বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যমূলক কর্মকাণ্ড যেমন খাদ্য, কৃষি এবং অ্যাকুয়াকালচারে (পানির মধ্যে গাছপালা উৎপাদন বা জীবজন্তুর বংশবৃদ্ধির প্রচেষ্টা) বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি