করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনা দূতাবাসের দিক-নির্দেশনা জারি

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চীনা দূতাবাসের দিক-নির্দেশনা জারি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দিক-নির্দেশনা জারি করেছে। এতে নতুন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কী করণীয়, তা বর্ণনা করা হয়েছে। নিম্নে এসব নির্দেশনা তুলে ধরা হলো:-

১। যতটা সম্ভব বাইরের কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনা।

ক। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকা এড়িয়ে চলা।

খ। মহামারী প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকালে আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যত সম্ভব কম সাক্ষাত করা ও একসঙ্গে খাবার না খাওয়া। যথাসম্ভব নিজ ঘরে অবস্থান করা।

গ। জনাকীর্ণ স্থান, বিশেষ করে গণশৌচাগার, সিনেমা হল, ইন্টারনেট ক্যাফে, শপিংমল, বাস ও রেলস্টেশন, বিমান বন্দর, ফেরিঘাট এবং প্রদর্শনী কেন্দ্রসমূহে ভ্রমণ পরিহার করা।

২। ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।

ক। বাইরে বের হলে বা জনাকীর্ণ এলাকা যেমন-হাসপাতাল যাওয়া বা গণপরিবহনে চড়লে সার্জিক্যাল বা এন-৯৫ মাস্ক পরিধান করতে হবে।

খ। হাতকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এলাকার আসবাবপত্র স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবারের আগে, শৌচাগার ব্যবহার করার পরে, হাঁচি দেওয়ার পর এবং সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এলাকা থেকে ফিরে এসে সাবান দিয়ে প্রবহমান পানিতে হাত ধুতে হবে। হাত পরিষ্কার কিনা, তা নিশ্চিত না হয়ে মুখ, নাক এবং চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি এবং কাশির সময় কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে।

৩। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

ক। আপনার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করুন। জ্বর অনুভূত হলে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন। সকালে এবং রাতে বাচ্চাদের কপালে হাত রেখে জ্বর অনুভূত হলে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করুন।

খ। করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে মাস্ক পরিধান করুন এবং অনতিবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো হলো: জ্বর, হাঁচি-কাশি, গলা ব্যথা, বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধামন্দা, দুর্বলতা, জড়তা, বমিভাব, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড়, চোখ উঠা এবং অঙ্গ বা পেশীতে হালকা ব্যথা। এ অবস্থায় যে কোনো গণপরিবহণ যেমন-বাস, ট্রেনে চড়া এবং জনাকীর্ণ এলাকা ভ্রমণ পরিহার করতে হবে। চিকিৎসককে আপনার ভাইরাস আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণ ও বসবাসের বৃত্তান্ত জানাবেন। সেই সঙ্গে রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কার কার সঙ্গে দেখা করেছেন, তাও চিকিৎসককে জানাতে ভুলবেন না। যেকোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে চিকিৎসককে সহায়তা করুন।

৪। ভালো স্বাস্থ্যাভ্যাস ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

ক। ভালোভাবে বায়ু চলাচলের জন্য ঘনঘন ঘরের দরজা জানালা খুলে দিন।

খ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আপনার গামছা কিংবা তোয়ালে যৌথভাবে ব্যবহার করবেন না। আপনার ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং কাপড়-চোপড় ও কাঁথা-বালিশ ঘনঘন রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।

গ। যত্রতত্র থুতু ফেলবেন না। থুতু এবং সর্দির পানি টিস্যু পেপারে মুড়ে ঢাকা ডাস্টবিনে ফেলুন।

ঘ। আপনার খাদ্য ও পুষ্টি এবং শরীর চর্চায় ভারসাম্য বজায় রাখুন।

ঙ। বন্যপ্রাণীকে স্পর্শ, কেনাবেচা ও এর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেই সঙ্গে জীবিত বন্যপ্রাণী বেচাকেনার বাজারে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

চ। থার্মোমিটার, সার্জিক্যাল বা এন-৯৫ মাস্ক এবং অন্যান্য জীবাণুনাশক দ্রব্যাদি ঘরে প্রস্তুত রাখুন।