সোমালিয়ায় দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত নিহত ৩০

সোমালিয়ায় দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত নিহত ৩০

ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ার রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসের কাছে সড়কের ব্যস্ত মোড়ে শনিবার দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হলে শিশুসহ বহুসংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। বিষয়টি দেশটির জাতীয় পুলিশ জানিয়েছে।

একজন হাসপাতাল কর্মী অন্তত ৩০টি লাশ গুনেছেন বলে জানান। তিনি আশঙ্কা করছেন যে এই সংখ্যা আরো বেশি হবে।

রাজধানী মোগাদিশুতে এই বিস্ফোরণ এমন এক দিনে ঘটে যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলায় সম্প্রসারিত প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠক করছিলেন। আল-কায়েদা অনুষঙ্গী আল-শাবাব দলটি প্রায়শই রাজধানীকে লক্ষ্য করে থাকে। একই স্থানে আরেকটি বড় বিস্ফোরণে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পাঁচ বছর পর ঘটনাটি ঘটেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় কেউ নেয়নি। ২০১৭ সালের ওই বিস্ফোরণের মতো আল-শাবাব খুব কমই বড় সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার হামলার দাবি করে থাকে।
তবে প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ এই হামলাকে নিষ্ঠুর ও কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করে আল-শাবাবকে দায়ী করেছেন।

মদিনা হাসপাতালে এক স্বেচ্ছাসেবক হাসান ওসমান বলেন, ‘হাসপাতালে আনা অন্তত ৩০ জন মৃত ব্যক্তির মধ্যে বেশিরভাগই নারী৷ এটা আমি নিজের চোখে দেখেছি।’

হাসপাতাল ও অন্য স্থানে, উন্মত্ত আত্মীয়রা প্লাস্টিকের ব্যাগে (লাশ রাখার ব্যাগ) বারবার উঁকি দিয়ে প্রিয়জনকে খুঁজতে দেখা গেছে।

আমিন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে যে তারা অন্তত ৩৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়েছেন।

অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের পরিচালক আবদুলকাদির আদান এক টুইটে বলেন যে প্রথম বিস্ফোরণে যখন একটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে যায় তখন দ্বিতীয় বিস্ফোরণে ওই গাড়িটি হামলার শিকার হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী আবদিরাজাক হাসান বলেন, ‘দ্বিতীয় বিস্ফোরণের সময় আমি ১০০ মিটার দূরে ছিলাম। মৃত্যুর (সংখ্যা) কারণে আমি মাটিতে লাশ গুণতে পারিনি।’

তিনি আরো বলেন, প্রথম বিস্ফোরণটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়ালে আঘাত হানে। যেখানে সড়কে নানা বিক্রেতা ও মানি চেঞ্জারদের অবস্থান।

সূত্র: নয়াদিগান্ত