পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

সীমান্তে গোলাগুলি ও বাংলাদেশ ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণে মর্টার শেল এসে পড়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কর্মকর্তারা। ভবিষ্যতে এ ধরনের গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।

একইসাথে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড বিজিবির সাথে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা সীমান্ত প্রটোকল অনুসরণ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত দুই দেশের বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণ বসবাসের অঙ্গীকার করেছেন।

রোববার কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর পাড়ে শাহপরীর দ্বীপে বিজিবি রেস্ট হাউজে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির প্রতিনিধিরা এই প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানিয়েছেন বিজিবি কমান্ডার।

বিকেলে টেকনাফে বিজিবি ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। পতাকা বৈঠকে সীমান্তে গোলাগুলি ও বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গোলাবর্ষণের জন্য মিয়ানমার প্রতিনিধির কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়। ব্রিফিংয়ে বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আজিজুর রউফ বক্তব্য রাখেন।

পতাকা বৈঠকে সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার ও অনুপ্রবেশরোধে যৌথভাবে কাজ করবে বলে দু'পক্ষই একমত পোষণ করেন বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে কক্সবাজারে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিপির মধ্যে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার সকাল ১০টায় টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাট সংলগ্ন বিজিবির সোদান রেস্ট হাউজে পতাকা বৈঠকটি শুরু হয়। চার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বিজিপির প্রতিনিধি দল বিকেল তিনটায় নাফ নদী দিয়ে শাহপরীর দ্বীপ ত্যাগ করেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাটে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুইটি স্পিডবোটযোগে পৌঁছে।