গোলাগুলির পর ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্র বিদ্যুৎ সংযোগ হারিয়েছে : আইএইএ

গোলাগুলির পর ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্র বিদ্যুৎ সংযোগ হারিয়েছে : আইএইএ

সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বলেছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাতে গোলাগুলির পর বাহ্যিক বিদ্যুতের সমস্ত সংযোগ হারিয়েছে। বর্তমানে এটি তার জরুরি ডিজেল জেনারেটর থেকে ব্যাকআপ পাচ্ছে।

পারমাণবিক অপারেটর এনারগোটম ওই অঞ্চলে গোলাগুলির জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছে। গোলাগুলির ফলে বিদ্যুৎ লাইন এবং বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ব্যাপারে রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর দোষ চাপিয়েছে।

আলাদাভাবে আইএইএ বলেছে, তাদের পরিদর্শকরা, ইউক্রেন ‘ডার্টি বোম’ ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে- রাশিয়ার এমন দাবির তদন্ত করছে। তারা যে তিনটি স্থান পরিদর্শন করেছে সেখানে অঘোষিত পারমাণবিক কার্যকলাপ এবং এ সংক্রান্ত উপাদানের কোনো ইঙ্গিত পায়নি।

ইউক্রেন নিজ ভূখণ্ডে তেজস্ক্রিয় বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছে- রাশিয়ার এমন অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং দেশটি বলছে, রাশিয়া পারমাণবিক উপাদানযুক্ত বোমা ব্যবহারের হুমকিকে ইউক্রেন হামলার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করার চক্রান্ত করছে।

গত সপ্তাহে রাশিয়া জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করেছে এবং একটি চিঠিতে সতর্ক করেছে যে, তারা ‘কিয়েভ সরকার কর্তৃক তেজস্ক্রিয় বোমার ব্যবহারকে পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে বিবেচনা করবে।’

জাতিসঙ্ঘের নিরস্ত্রীকরণ কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন যে, তারা ইউক্রেনের কোনো জৈবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত নন। অন্যদিকে কিয়েভ এবং ওয়াশিংটন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মঙ্গলবার পেন্টাগন ‘উদ্বেগ’ জানিয়েছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরান এবং উত্তর কোরিয়া থেকে আরো অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করতে পারে।

রাশিয়াকে ড্রোন এবং সামরিক সহায়তা প্রদানের ব্যাপারটি ইরান বারবার অস্বীকার করেছে।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা