রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে পাড়ের মানুষ

রূপসায় নদীর চরে কুমির, আতঙ্কে পাড়ের মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার রূপসায় নদীর চরে বড় আকৃতির একটি কুমির দেখতে পেয়েছে এলাকাবাসী। রোববার উপজেলাধীন চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে কুমিরটি দেখতে পায় তারা।

এই প্রথম রূপসা নদীতে কুমির দেখতে পাওয়া যায় বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চররূপসার মাছ কোম্পানি এলাকায় কম্পিউটার দোকানদার মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রথমে কুমিরটি দেখতে পেয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কুমিরের ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেন। পরে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ছবিটি পোস্ট করেন। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিরের ছবিটি ভাইরাল হয়।

কুমিরটি দেখার জন্য স্থানীয়রা ও দূর-দূরান্তের মানুষ এসে ভীড় জমাতে থাকে।

সংবাদ পেয়ে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম কুমিরটি দেখতে আসেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের সতর্ক করার জন্য বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।

রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে সাথে নিয়ে চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রূপসা নদীর পাড়ে গিয়ে কুমিরের দেখা পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, উৎসুক জনতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে কয়েকটি মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে।

বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি রূপসা নদীর পাড়ে অবস্থিত। জোয়ারের সময় বারান্দা পর্যন্ত পানি হয়। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা খুবই ঝুঁকিতে থাকে।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে নদীর পাড়ে চর এলাকায় কুমির দেখতে পাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

এতে অভিভাবকদেরও দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে। এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সীমানা প্রাচীর যদি শিগগিরই না দেয়া হয়, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও হ্রাস পেতে পারে।

চররূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা খাতুন বলেন, সকালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নদীর চরে কুমিরটি দেখতে পাওয়া যায়। অল্প সময় কুমিরটি চরে ছিল। এরপর নদীতে চলে যায়। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে খবর দিলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে তারা কুমিরটি দেখতে আসেন। তারা শিক্ষার্থীসহ উৎসুক জনতাকে সতর্ক থাকতে বলেন।

তিনি আরো বলেন, কুমির আতঙ্কে বিদ্যালয়ের ক্লপ শিকল গেট আটকিয়ে শ্রেণিতে পাঠদান দেয়া হয়। কোনো শিক্ষার্থীকে বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর প্রয়োজন।

সূত্র : ইউএনবি