তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৮ যুদ্ধবিমান

তাইওয়ানের আকাশে চীনের ১৮ যুদ্ধবিমান

ছবি: সংগৃহীত

চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। তাইপে বলেছে, তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে রেকর্ড ১৮টি পারমাণবিক সক্ষমতার বোমারু বিমানসহ মোট ২১টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চীন।

তাইওয়ান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করার কয়েক দিনের মাথায় সেখানে বোমারু বিমান পাঠানোর এমন ঘটনা ঘটল।

মঙ্গলবার তাইপে চীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ডের অংশ মনে করে চীন। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দেশটি সবসময় চীনের আক্রমণের শিকার হওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে। একদিন এ দ্বীপটি দখল করা হবে এমন হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন। প্রেসিডেন্ট সাই দ্বীপটিকে চীনের অংশ বলে মেনে নিতে বরাবরই অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

২০১৬ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাই ইং-ওয়েনের নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দ্বীপটির চারপাশে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে বেইজিং।

মঙ্গলবার সকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১টি যুদ্ধবিমান দ্বীপ ভূখণ্ডটির দক্ষিণ-পশ্চিম এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজে) প্রবেশ করেছে। আকাশসীমায় প্রবেশ করা এসব যুদ্ধবিমানের মধ্যে পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন ১৮টি এইচ-৬ বোমারু বিমানও ছিল।

এএফপির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, তাইপেই ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দৈনিক অনুপ্রবেশের ডেটা প্রথম রাখা শুরুর পর থেকে এইচ-৬ বোমারু বিমানের মাধ্যমে এটিই সবচেয়ে বড় দৈনিক অনুপ্রবেশের ঘটনা।

এর আগে গত সপ্তাহে তাইওয়ানের খাদ্য, পানীয়, অ্যালকোহল এবং মৎস্যজাত পণ্যের ওপর নতুন করে আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন। এদিকে তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং-চ্যাং বেইজিংকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম লঙ্ঘন এবং দ্বীপের বিরুদ্ধে ‘বৈষম্য’ করার অভিযোগ তুলেছেন।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ ইয়ু বলেছেন, বছরজুড়ে সামরিক হুমকি ও রেকর্ড অনুপ্রবেশের ঘটনার পর এই দ্বীপে ভবিষ্যৎ আক্রমণের অজুহাত খুঁজছে বেইজিং। তিনি আরো বলেন, শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর বেইজিংয়ের সাথে তাইপের যোগাযোগ আরো কমতে পারে।

সূত্র : গার্ডিয়ান, এএফপি