থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর: ঢাকার আঞ্চলিক সংহতির আহ্বান

থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কের ৫০ বছর: ঢাকার আঞ্চলিক সংহতির আহ্বান

সংগৃহীত

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় থাইল্যান্ডের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেছেন। তিনি আঞ্চলিক সংহতির আহ্বান জানান।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও যোগ্য নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক, উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য এর ধারাবাহিকতা কামনা করেন। মাসুদ এশীয় উন্নয়নের গতির সুফল পেতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংহতির ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বন্ধুত্বের ৫০ বছর: সম্ভাবনা ও এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ। সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এবং বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

সেমিনারে বক্তারা ছিলেন- রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন (চেয়ারম্যান, বিআইএসএস), অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং জীবন কৃষ্ণ সাহা রায় (পরিচালক, বিডা)।

পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে থাইল্যান্ড কর্তৃক বাংলাদেশকে প্রাথমিক স্বীকৃতির কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রশংসা করার সময় তিনি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি এই অঞ্চলে ও এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উভয় দেশের যৌথ অঙ্গীকার ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন।

 



 

থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন যে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনীতি দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বৃহত্তর সাহায্য ও সহযোগিতার নতুন সুযোগ প্রদান করেছে।

দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, সভ্যতাগত ও ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতার কথা তুলে ধরে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

তিনি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ত্বরান্বিত করার জন্য একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) ওপরও জোর দেন।

বক্তারা বাংলাদেশে সুযোগের পাশাপাশি প্রাণবন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও সংযোগের দৃশ্যপট এবং বিদ্যমান থাই বিনিয়োগের কথা তুলে ধরেন। তারা বৃহত্তর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য প্রতিশ্রুতিশীল ক্ষেত্রগুলোও নির্দেশ করে এবং সেই সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার চ্যালেঞ্জের ওপর আলোকপাত করে।

সেমিনারে ঢাকাস্থ আসিয়ান দেশগুলোর মিশন প্রধান ও কূটনীতিকরা, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: ইউএনবি