স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের (বিএনএইচএ) ষষ্ঠ রাউন্ডের ফল অবহিতকরণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে, সব উন্নয়ন থেমে যাবে, বাধাগ্রস্থ হবে। স্বাস্থ্যসেবায় আমরা বিভিন্নভাবে খরচ করি। বড় একটা খরচ হয় প্রশাসনিক কাজে। আবার কিছু অপচয়ও হয়।  

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. বর্দন জং রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল ষষ্ঠ রাউন্ডের ফল জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতালের যন্ত্রপাতিসহ অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে। এতে করে চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য তদারকি ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। তবে আশার কথা হলো, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে।

স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট খরচ অনেক বেশি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, রোগীর পকেট খরচ কমাতে হলে প্রাইভেট হাসপাতালের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আবার বিদেশেও দেশ থেকে একটা বড় অংশ গিয়ে চিকিৎসা নেয়, তারও একটা প্রভাব এতে পড়ে।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় মিলিয়ে যা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরে এনজিও সংস্থাগুলোও রয়েছে। চিকিৎসায় আমাদের মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার, যা শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়ে কম। আমরা হয়তো জিডিপির শেয়ার কম পাচ্ছি, এটা বাড়ানো দরকার।