ঢাবি শিক্ষার্থী বিপু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ঢাবি শিক্ষার্থী বিপু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বিপুকে গুলি করে হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য পাঁচজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বাবু, চায়না বাবুল ওরফে বাবুল, তারিকুল ইসলাম ওরফে মিল্লাত, খায়রুল বাশার ওরফে খায়রুল এবং পাতলা সুমন ওরফে সুমন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম দু`জন আদালতে হাজির হন। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

খালাস প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সোহেল, আলম, আজাহারুল ইসলাম ওরফে পারভেজ, মামুন এবং উজ্জল।

জানা যায়, বিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ এ পড়ার পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। ২০০৪ সালের ২৬ জুলাই বিকেলে ডেমরার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় প্রতিবেশী বাবু বাসায় এসে বিপুকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর কাজের মেয়ে বাসায় এসে জানায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বিপু। বিপুর খালা রোকসানা আক্তার ও পাশে থাকা সুমন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বিপুর মা লায়লা বেগম ওই দিনই ডেমরা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম ২০০৪ সালের ২৯ নভেম্বর ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীর প্রতিবাদ করায় বিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০৬ সালের ১২ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।