এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের এমডির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের

দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পলাতক জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।হাইকোর্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুদককে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে বলেছেন।

গত ৫ জানুয়ারি দৈনিক কালবেলায় ‘দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে ইয়াসিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার স্বতঃপ্রেণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন।

অনুসন্ধানের পাশাপাশি হাইকোর্ট, এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল দিয়েছেন।

৯ মার্চ এ বিষয়ে ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।এবিষয়ে প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়,ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইয়াসিন চৌধুরী।

গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ইয়াসিন চৌধুরীর কাছে শুধু একটি ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ এক হাজার ২৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড বা নগদ ঋণ ৯১৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা এবং নন-ফান্ডেড (এলসি ও ব্যাংক গ্যারান্টি) ৩২৫ কোটি টাকা।এছাড়া এফএমসির এমডি ইয়াসিনের কাছে মোট ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ টাকা পাবে দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

সূত্র : ইউএনবি