ইরানে আরও তিন বিক্ষোভকারীর ফাঁসির আদেশ

ইরানে আরও তিন বিক্ষোভকারীর ফাঁসির আদেশ

সংগৃহীত

হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরানের আদালত। তিনজনেরই অপরাধ, আন্দোলন চলাকালীন তারা নিরাপত্তা বাহিনীর তিনকর্মীকে খুন করেছে।

চার মাস আগে হিজাব ইস্যুতে গ্রেফতার হয় মাহসা আমিনিকে। ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এরপর ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। কঠোর হাতে বিদ্রোহ দমন করার চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এক আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়। সোমবার আরও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। প্রায় সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, বাহিনীর উপরে হামলা চালিয়েছে। যদিও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে- তারা ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যার সাজা সর্বোচ্চ— প্রাণদণ্ড। এই নিয়ে তিন মাসে ১৭ জনকে এই সর্বোচ্চ সাজা শোনানো হল দেশটির আদালত। এর মধ্যে চারজনের ফাঁসি হয়ে গেছে। দু’জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। 

এ দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- সালেহ মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি ও সাইদ ইয়াগুবি। তারা ফের আবেদন জানাতে পারবে আদালতে। এই তিনজনের চার্জশিটেও লেখা হয়েছে ‘মোহারেবে’, অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। এই ঘটনায় জড়িত হওয়ার অপরাধে আরও দু’জনের জেল হয়েছে।

শনিবারই মুহাম্মদ মেহদি কারামি এবং সাইদ মুহাম্মদ হোসেনিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অপরাধ— নভেম্বরে তেহরানের পশ্চিমে কারাজে আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যকে খুন করে তারা। মোহসেন শেকারি ও মাজিদরেজা রাহনাবার্দ নামে দুই আন্দোলনকারীকে ডিসেম্বরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। দু’জনে দু’টি পৃথক ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল। হিজাব-বিরোধী আন্দোলন দমন করতে ইরান সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমা বিশ্ব। তেহরানের ওপর ইতোমধ্যে একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তারা।সূত্র: ডিডব্লিউ