বঙ্গবন্ধুর মানবিক গুণাবলিই মুক্তিকামী মানুষের নেতা বানিয়েছে : কুবি উপাচার্য

'বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি সারাজীবন বাংলাদেশের জন্য, মুক্তিকামী মানুষের জন্য, স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন। অনেক ত্যাগ ও তিতীক্ষার মাধ্যমে আমাদের এই দেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরে এসেছিলেন সেদিন রাস্তায়, বিমানবন্দরে মানুষ অপেক্ষা করেছিল তাকে গ্রহণ করতে। মহানুভবতা ও ক্ষমাশীলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর দুইটি বড় গুন। বঙ্গবন্ধুর আরেকটি বড় গুন হলো তিনি কখনো থেমে থাকেননি।

 তার মতো এমন ত্যাগী মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ বর্তমানে দেখা যায়না। তার মানবিক গুণাবলির কারণে তিনি একসময় হয়ে উঠেছিলেন সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা।' বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বার কক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশ (ওমর-জাহিদ) কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

 এসময় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাজী ওমর সিদ্দিকী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, '১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ বিজয় লাভ করে।

 এরপর রিজার্ভ শূন্যে থাকা একটি দেশের মাটি ও মানুষকে নিয়ে তিনি দেশ গড়ার কাজে হাত দেন এবং একেবারে অল্পসময়েই তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হন। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর দরজা সবসময়ই সবার জন্য খোলা ছিলো। নেতা কিংবা কর্মী বলে তিনি কখনো ভেদাভেদ দেখান নাই। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে যে কার্যক্রম গুলো হাতে নিয়েছেন তার সবগুলোর সূচনা সেসময় বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন।'

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উদযাপন কমিটির কমিটির আহ্বায়ক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের নেতৃবৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।