কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ

শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায় প্রায় অর্ধেক। কিন্তু অল্প চাহিদার বিদ্যুৎও উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যার কারণে মাঘ মাসের শুরুতে খুলনায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো)।

বৃহস্পতিবার অফ পিক আওয়ারে খুলনায় লোডশেডিং ছিলো প্রায় ২৪ মেগাওয়াট এবং আর পিক আওয়ারে লোডশেডিং ছিলো ৪ মেগাওয়াট।

শুক্রবার সকালেও লোডশেডিং ছিলো ৫ মেগাওয়াট। এতে বিদ্যুৎ ছিলো না নগরীর বিভিন্ন এলাকায়।ওজোপাডিকো থেকে জানা গেছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হঠাৎ কমে যাচ্ছে।

জানা গেছে, কয়লার অভাবে গত আটদিন ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। যার উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনাসহ ওজোপাডিকোতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পদ্মার এপারের ২১টি জেলায়।১৭ ডিসেম্বর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায়  ১৪ জানুয়ারি সকালে বন্ধ করে দেয়া হয়।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত উৎপাদনের জন্য কেন্দ্রটিতে প্রায় পাঁচ হাজার টন কয়লা লাগত। কয়লা আসত ইন্দোনেশিয়া থেকে। কিন্তু ডলার সংকটে কয়লা আনা যাচ্ছে না। চলতি বছরের জুনে এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কয়লা সংকটে তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লি. (বিআইএফপিসিএল)-এর উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ প্রস্তুত আছে। ঋণপত্র পেলে জাহাজটি বাংলাদেশের পথে রওনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত এই সংকট নিরসনের।

সূত্র : ইউএনবি