নিপাহ ভাইরাসে মারা যাওয়া শিশুর বাড়িতে আইইডিসিআর এর তথ্য উপাত্ত্ব সংগ্রহ

নিপাহ ভাইরাসে মারা যাওয়া শিশুর বাড়িতে আইইডিসিআর এর  তথ্য উপাত্ত্ব সংগ্রহ

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সোয়াদ হোসেন (৭)

পাবনা ঈশ্বরদীতে ইন্সটিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার থেকে তাদের কাজ শুরু করেছেন একং বুধবারও সেখানে কাজ করছেন।

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন-ডাঃ রাশেদ, ডাঃ মিলি, ডাঃ সাবরিনা, ডাঃ রাজা এবং ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান। তারা সেখানে অবস্থান করে তথ্য উপাত্ত্ব সংগ্রহ করছেন এবং সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করছেন।

এর আগে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল মৃত শিশুর বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দীঘা গ্রামে পৌঁছায়।ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু সোয়াদের মৃত্যু হয়।

প্রতিনিধি দলের সাথে গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলতে চাইলে তাদের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি। ঢাকায় ফিরে সরকারিভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানাবেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।

ডাঃ আসমা খাতুন বলেন, আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল ঈশ্বরদীতে এসে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করে। তারা কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ দেন। নিপাহ ভাইরাস মূলত বাদুড়ের লালা থেকে আসছে। সেজন্য ফল না ধুয়ে খাওয়া যাবে না।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসার চৌধুরী জানান, আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বাড়িতে এসে তদন্ত করে বাড়ির সকল সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে।

উল্লেখ্য, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের দিঘা গ্রামের সানোয়ার  হোসেনের ছেলে সোয়াদ হোসেন (৭) মারা যায়। সে দিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

 নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার রাত সাড়ে ৩টা দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সোয়াদের বাবা সানোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ২০ দিন আগে সোয়াদসহ সবাই খেজুরের রস পান করি। ১৫ জানুয়ারি বিকেলে স্থানীয় স্কুল মাঠে খেলার সময় অসুস্থ বোধ করে সোয়াদ। সেই রাতে সোদের জ্বর হয় এবং নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার পর জ্বর কমে যায়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে ২০ জানুয়ারি তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ভর্তির পর চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্যাম্পল ঢাকায় পাঠান। রোববার রিপোর্টে নিপাহ ভাইরাস ধরা পড়ে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সোয়াদ মারা যায়।