পশ্চিমা দেশগুলি থেকে প্রায় ৬০০ রুশ কূটনীতিক বহিষ্কৃত গত এক বছরে

পশ্চিমা দেশগুলি থেকে প্রায় ৬০০ রুশ কূটনীতিক বহিষ্কৃত গত এক বছরে

পশ্চিমা দেশগুলি থেকে প্রায় ৬০০ রুশ কূটনীতিক বহিষ্কৃত গত এক বছরে

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এপর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কিছু মার্কিন মিত্র দেশ থেকে প্রায় ৫৭৪ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় বহিষ্কার। ইউক্রেন পরিস্থিতির সাথে যুক্ত থাকা ও কূটনীতিক মর্যাদার সাথে বেমানান কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি রুশ কূটনীতিক বহিষ্কৃত হন ২০২২ সালের জুন মাসে। এ সময় ৭০ জন কূটনীতিককে বুলগেরিয়া থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৮ সালে, স্ক্রিপালের বিষক্রিয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র ১২৩ জন রুশ কূটনীতিককে সে সময় পারসন-নন গ্রাটা ঘোষণা করা হয়েছিল। বুলগেরিয়া সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৮৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে । পোল্যান্ড  থেকে ৪৫ জন, জার্মানি  থেকে ৪০জন,  স্লোভাকিয়া থেকে ৩৫ জন,  ফ্রান্স থেকে ৩৫ জন, স্লোভেনিয়া থেকে ৩৩ জন ,  ইতালি থেকে ৩০ জন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৮ জন রুশ কুটনীতিককে বহিস্কার করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে, ২৯টি ইউরোপীয় দেশ, সেইসাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান রুশ কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অসহিসষ্ণু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রুশ মিশন থেকে ১৯ জন রুশ কর্মচারীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়া তাদের, কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব অপেক্ষাকৃত নীচু স্তরে নমিয়ে এনছে।  ২০২৩-এর ২৩ জানুয়ারী, লাটভিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও শিথিল করে ‘চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স’-এর স্তরে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুলগেরিয়া (রুসা), লাটভিয়া (লিপাজা এবং দাউগাভপিলস), লিথুনিয়া (ক্লাইপেদা) এবং এস্তোনিয়া (নারভা এন টার্টি)-তে রুশ কনস্যুলেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। ২০২২-সালের ২৪  ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের  প্রেসিডেন্ট ভলাাদিমির  জেলেনস্কি ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।

সূত্র : বাসস