হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে : তাপস

হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে : তাপস

ফাইল ছবি

মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও ঢাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি আজ দুপুরে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী হতে ফুলবাড়িয়া অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।  

মেয়র তাপস বলেন, "মেয়র হানিফ উড়াালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে তা দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখল মুক্ত করে উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আটটি অংশে (উড়ালসেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই আটটি অংশেই আমরা এখানে খুব দ্রুতই কাজ শুরু করব।"

জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েইই উড়ালসেতুর নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়নন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে আমরা এখানে কাজ করব। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনও ধরনের অবকাঠামো চায়, সে বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনও কার্যক্রম নেয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করছি।  হয়তোবা একটু সময় নেবে। কিন্তু এটা সম্পন্ন হলে সবাই উপকৃত হবে।"

 কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আমাদেরকে জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেলো। এখানো স্থানান্তরিত হয় নাই। আমি আশা করব যে, এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।”

এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, “রাজধানীর শ্যামপুর শিল্পাঞ্চলে সেজন্য গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ সকল গোডাউন সরিয়ে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরান ঢাকার বিপদজনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।"

এ সময় বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজকেই সেখানে যান তাহলে দেখতে পাবেন যে অত্র এলাকার সকল মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেয়া হয়েছে।

সেখানে একটি আদালত রয়েছে। সেখানে বিশাল জনসমাগম হয়। তাদের মাধ্যমেই (যাদের ইজারা দেয়া হয়েছে) আমরা পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মুক্ত রাখছি। আমরা এখন সেখানে বেষ্টনী দেবো এবং দুটো ফটক রাখব। যাতে করে বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনও সুযোগ নেই। ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে আমরা জনকল্যাণে সেটার ব্যবহার নিশ্চিত করছি।"এর আগে ব্যারিস্টার শেখ তাপস সবুজবাগের মানিকদিয়া ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অর্ন্তবর্তী সময়ে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডেও মো. আজিজুল হক এবং সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস