ডবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া : ৯ বছর পর মুখ খুললেন গেইল

ডবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া : ৯ বছর পর মুখ খুললেন গেইল

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটার ক্রিস গেইল

চাইলে হয়তো পারতেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতরানের মালিক হতে। কিন্তু এবি ডি’ভিলিয়ার্সের জন্য গড়তে পারেননি নজির। হঠাৎই সুযোগ হারানো নিয়ে মুখ খুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ব্যাটার ক্রিস গেইল।

২০১৩ সালের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। ওই ম্যাচেই দ্বিশতরান পূর্ণ করতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে তার। গেলের ১৭৫ রানের ওই অনবদ্য ইনিংসই এখন পর্যন্ত ২০ ওভারের ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার রবীন উত্থাপাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ইনিংস নিয়ে কথা বলেছেন গেইল। তিনি মজা করে বলেছেন, ‘ডি’ভিলিয়ার্স ছিল আমার সাথে উইকেটে। ওকে ব্যাট করার সুযোগ দেয়ার জন্যই আমার দ্বিশতরান পূর্ণ হয়নি সেই ম্যাচে।’

আক্ষেপ থাকলেও সাবেক সতীর্থের প্রশংসাই করেছেন গেইল। তিনি বলেছেন, ‘ডি’ভিলিয়ার্স শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ছিল। মনে হয় মাত্র ৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেছিল। আমি ওকে ব্যাট করার সুযোগ না দিলে ২১৫ রান মতো করতে পারতাম। কিন্তু সুযোগ না দিয়ে উপায় ছিল না। দারুণ আগ্রাসী ব্যাটিং করছিল। ওই সময় ওকেই বেশি খেলার সুযোগ দেয়া উচিত ছিল।’

আইপিএলের সেই ম্যাচে গেলের মারা বল উড়ে গিয়ে গ্যালারিতে এক কিশোরীর নাকে লাগে। তার নাক ভেঙে গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে কিশোরী ক্রিকেটপ্রেমীকে দেখতে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ব্যাটার। তা নিয়ে বলেছেন, "বলটা দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার পর মেয়েটিকে আঘাত করেছিল। আমি ম্যাচের পর হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম। তখনো ওর জামায় রক্ত লেগে ছিল। অথচ মেয়েটি আমাকে বলেছিল, ‘আপনি চিন্তা করবেন না। এমন ছয় আরো মারুন।’ ওই ঘটনাটা আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির কথা আমার মন হালকা করেছিল। পরের ম্যাচে অনেক দর্শকের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখেছিলাম। লেখা ছিল, ‘ছয় মেরে আমার নাক ভেঙে দিন।’ ওরাও চেয়েছিল, আমি হাসপাতালে দেখতে যাই। আসলে সকলে আমার সাথে দেখা করতে চাইছিল।’’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা