ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে শাস্তির মুখে সুজন

ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে শাস্তির মুখে সুজন

খালেদ মাহমুদ সুজন

ফের বিতর্কে জড়ালেন খালেদ মাহমুদ সুজন। এবার বিপিএলের নবম আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মোকাবিলায় ব্যাট করছিল খুলনা টাইগার্স। এসময় ড্রেসিংরুমের একটি দৃশ্য হঠাৎ ধরা পড়ে ক্যামেরায়। যেখানে দেখা যায় প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন খুলনার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বরিশালের দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে খুলনা। জয়ের জন্য যখন তাদের শেষ ৪ বলে প্রয়োজন মাত্র ৪ রানের প্রয়োজন, তখনই সরাসরি ম্যাচ সম্প্রচারকারী ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ে ড্রেসিংরুমের একটি দৃশ্য।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান টিম ডিরেক্টর এবং খুলনার কোচের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে তার ধূমপানের মুহূর্তের ছবিও। এমন কাজ করে অনিবার্য শাস্তির অপেক্ষায় সুজন। তার অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

বিপিএলের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচটির রেফারির দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল। দেবব্রত যদিও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।

তবুও তিনি জানান, তিনি শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে খেলা শেষে ফেরার পর মোবাইলে ফুটেজটি দেখেছেন। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি দেবব্রত। শুধু বলেছেন, ড্রেসিংরুমে ধূমপান ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী অবশ্যই।

এই ক্ষেত্রে খালেদ মাহমুদের কী শাস্তি হতে পারে? জানতে চাইলে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কথা, ‘আমি শুধু ফুটেজ দেখেছি। এ নিযে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ ক্ষেত্রে হয় মৌখিক সতর্ক, না হয় ম্যাচ ফি কর্তনের সম্ভাবনাই বেশি। সূত্র আরও জানায়, সাধারণত বয়সে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের কেউ এমন কাজ করলে তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজন তো অনেক অভিজ্ঞ। টিম ডিরেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন। আর বিপিএলের শুরু থেকেই তিনি কোচ। তাই সুজনের অর্থদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ম্যাচ ফির ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাটা যেতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।