অনিয়মিত অভিবাসনের কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কাজ করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনিয়মিত অভিবাসনের কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কাজ করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন । 

তিনি শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার এডিলেইডে অনুষ্ঠিত বালি প্রসেস ফোরামের মানব পাচার ও চোরাচালান এবং এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক ৮ম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। শনিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বালি প্রসেস যেন সমস্যার সাময়িক উপশমের উপলক্ষ না হয়।

তিনি বলেন, যুদ্ধ ও সহিংসতা, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, নিয়মিত অভিবাসনের স্বল্পতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মতো সমস্যাগুলো অনিয়মিত অভিবাসন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে, যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকদের সম্মুখে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই, বালি প্রসেসকে কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এ কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনে সকল দেশকে সক্রিয়ভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান। 

ড. মোমেন সম্মেলনের সাইড লাইনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নীলের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি শরণার্থী ভিসা প্রদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করতে পারে বলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এ সম্মেলনে ড. মোমেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোকে যুক্ত করতে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে, প্রররাষ্ট্রমন্ত্রী এডিলেইডে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

সূত্র : বাসস