বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গতিশীল করবে : ভারত

বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গতিশীল করবে : ভারত

বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার ও গতিশীল করবে : ভারত

পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে ও গতি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারত।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি অনুযায়ী দেয়া ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ অনুযায়ী পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বাংলাদেশ সফরে আসবেন।ভারত বলেছে, বাংলাদেশ ভারতের সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহযোগী এবং এই অঞ্চলে তার বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার গতি বাড়াবে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের আমন্ত্রণে আগামী ১৫-১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসবেন পররাষ্ট্র সচিব কোয়াত্রা।

সফরকালে উভয় পররাষ্ট্র সচিব রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা, পানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রতিরক্ষা, সংযোগ এবং উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্পূর্ণ পরিসর পর্যালোচনা করবেন।

নেপালে (১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদিনের সরকারি সফর শেষ করে ঢাকায় আসবেন কোয়াত্রা।পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

কোয়াত্রা গত বছরের ১ মে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এরপর এটিই হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লিতে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম গ্রুপ অব টুয়েন্টি (জি২০) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী ১-২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন।একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফর সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।কোয়াত্রার সফরে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারত ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি২০ এর সভাপতির দায়িত্বে থাকবে। দেশটি তার সব বৈঠকে বাংলাদেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ এই বছর সভাপতিত্বে জি২০ বৈঠকে ভারতের আমন্ত্রণকে ‘বড় সম্মান’ হিসেবে মনে করছে।মোমেন সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সেখানে আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমাদের বিচক্ষণ হওয়া উচিত, আয়োজক দেশের আমন্ত্রণ পাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ বাংলাদেশ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।জি২০ সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশের বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে।

সূত্র : ইউএনবি