মার্কিন নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র সম্মেলন ২৯-৩০ মার্চ

মার্কিন নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র সম্মেলন ২৯-৩০ মার্চ

ফাইল ছবি

মার্কিন নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র সম্মেলন আগামী ২৯ থেকে ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনটির সহ আয়োজক দেশ হিসেবে কোস্টারিকা, নেদারল্যান্ডস, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং জাম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার থাকবে।

মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ব্রায়ান শিলারকে কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি ২০২৩ -এর পরিকল্পনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমন গণতান্ত্রিক দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যা ওই অঞ্চলের বৈচিত্র্য, দেশের আকারের বৈচিত্র্য এবং অন্যান্য গুণনীয়কের প্রতিনিধিত্ব করে।’

এদিকে বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেটের।

গণতন্ত্রের জন্য দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি বিশ্ব নেতাদের একত্রিত করবে। তারপর সরকার, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সহ-আয়োজক প্রতিটি দেশে এই সমাবেশ হবে।

একটি আঞ্চলিক বৈচিত্র্যপূর্ণ সহ-আয়োজকদের  সঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনের সহ-আয়োজন এই সত্যকে আরও শক্তিশালী করে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি ‘নিরাপদ ও ন্যায্য বিশ্ব’ এর আকাঙ্ক্ষা এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের ওপর ভিত্তি করে ২০২৩ সালের মার্চে পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলো কীভাবে নাগরিকদের জন্য গণতন্ত্র চর্চা করে এবং বিশ্বের বড় বড় চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবে তা তুলে ধরবে।’

শিলার বলেছেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন বলেছেন, গণতন্ত্র হলো সর্বোত্তম হাতিয়ার যা আমাদের কাছে মানুষের সম্ভাবনা উন্মোচন করে এবং তা সমস্ত মানুষের জন্য সরবরাহ করতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই এটিকে শীর্ষে রাখতে হবে।’

প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমস্ত অংশগ্রহণকারী দেশকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায় এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য ২০২২ সালকে একটি ‘কার্যকরী বছর’ হিসাবে পরিণত করে।

শিলার আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত না হওয়া দেশগুলোকে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের জন্য তাদের নিজস্ব ‘কাজের বছরের’ পরিকল্পনা প্রকাশ করতে উৎসাহিত করেছে।

তিনি বলেন, দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে কোন দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে তা বিবেচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোন দেশগুলো এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কর্ম বছরে অংশগ্রহণ করেছে।

সূত্র: ইউএনবি