যশোরে আসলাম হত্যা মামলার মূল আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবা গ্রেফতার

যশোরে আসলাম  হত্যা মামলার মূল আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবা গ্রেফতার

যশোরে আসলাম হত্যা মামলার মূল আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবা গ্রেফতার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে খুন হওয়া যশোরের চৌগাছার আসলাম হত্যা মামলার মূল আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে অভয়নগর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

আজ দুপুরে শহরের বকচরে র‌্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেঃ কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান,২০২০ সালের ২৯ জুন ঢাকার কেরানীগঞ্জের খুন হওয়া আসলামের লাশ একই বছর গত ৫ জুলাই বস্তা বন্দী অবস্থায় হাসনাবাদ নৌ পুলিশ কেরানীগঞ্জ থানার পোস্তগোলা ব্রীজের কাছ থেকে উদ্ধার করে। মৃতের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত হয়।

নিহত আসলাম যশোর চৌগাছা উপজেলার মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে ভাড়া থাকতো। এ ব্যাপারে হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৭ জুলাই কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তদন্তের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,ভিকটিমের স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণা ও তার ২য় স্বামী মোঃ ডালিম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে ভিকটিমকে হত্যা করে বস্তাবন্দি অবস্থায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। আসলাম ছিলো তার ৩য় স্বামী।

কোম্পানী কমান্ডার আরও জানান,আসামী উম্মে হাবিবা কণা একাধিক বিয়ের মাধ্যমে স্বামীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করতো। অর্থ আত্মসাৎ ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামীরা এই হত্যাকান্ড ঘটায় এবং আলামত গোপন করার জন্য মৃতদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় র‌্যাব তাদের অভিযান অব্যাহত রাখে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে যে,পলাতক আসামী উম্মে হাবিবা কণা যশোর জেলার অভয়নগর থানার নওয়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে আছে । র‌্যাব আজ সকাল সাড়ে ৯টায় উক্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দীর্ঘ প্রায় ০৩ বছর ধরে আসলাম হত্যার পলাতক আসামী স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ভিকটিম তার ৩য় স্বামী ছিল এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকায় আসলামকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।কণা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কবুতর পাড়ার বাসিন্দা মৃত কামাল পাশার মেয়ে। আসামীকে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।