যুদ্ধে হারলে রাশিয়া টুকরা টুকরা হয়ে যাবে

যুদ্ধে হারলে রাশিয়া টুকরা টুকরা হয়ে যাবে

সংগৃহীত

সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট ও রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে হারলে রাশিয়া ‌'হাওয়া' হয়ে যাবে।

বুধবার এক টেলিগ্রাম পোস্টে মেদভেদেভ বলেন, 'বিজয় অর্জন ছাড়াই রাশিয়অ বিশেষ সামরিক অভিযান বন্ধ করে দিলে রাশিয়া হাওয়া হয়ে যাবে, দেশটি টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র যদি কিয়েভ জান্তাকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তবে যুদ্ধের অবসান হবে।'

মঙ্গলবার পোল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তৃতার পর মেদভেদেভ এই বক্তব্য দিলেন।
বাইডেন তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, 'রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করে তবে যুদ্ধের অবসান হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করা বন্ধ করে দিলে ইউক্রেন শেষ হয়ে যাবে।'

তার এই বক্তব্যকে মেদভেদেভ 'মার্জিত মিথ্যা' হিসেবে অভিহিত করেন।

মেদভেদেভ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে বলেন, তার নিজের দেশের সমস্যা থাকতে তিনি কেন অন্য দেশের জনগণের প্রতি আবেদন জানাচ্ছেন। রাশিয়া মনে করে, ২০ ও ২১ শতকের বেশির ভাগ যুদ্ধ শুরু করেছে মার্কিন নেতা। তাহলে কেন রাশিয়ার জনগণ তার কথা শুনবে।
সূত্র : সিএনএন

পরমাণু চুক্তি মেনে চলবে রাশিয়া
রাশিয়া মঙ্গলবার বলেছে, তারা নিউ স্টার্ট চুক্তির মাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো মেনে চলবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অস্ত্র চুক্তিতে মস্কোর অংশগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টা পর এই কথা জানানো হলো।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাশিয়া এই চুক্তির মেয়াদকালে একটি দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে চায় এবং তারা চুক্তির (নিউ স্টার্ট) মাধ্যমে নির্ধারিত কৌশলগত আক্রমণাত্মক অস্ত্রের পরিমাণগত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলবে।’
চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালের গোড়ার দিক পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বের দ’ুটি প্রধান পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে সর্বশেষ পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এটি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপের’ পর পুতিনের এমন সিদ্ধান্ত আসে। ২০১০ সালে প্রথম এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটনের ‘চরম শত্রুতার’ ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সংঘাত উস্কে দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিয়েভকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সমর্থন করা ওয়াশিংটন রাশিয়ার জন্য ‘মৌলিকভাবে ভিন্ন নিরাপত্তা পরিবেশ’ তৈরি করেছে।
মস্কো বলেছে, এই স্থগিতের অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন চুক্তিটির ‘প্রধান বিধান লঙ্ঘন করেছে।’

এতে আরো বলা হয়, ওয়াশিংটন কৌশলগত আক্রমণাত্মক অস্ত্রগুলোর নাম পরিবর্তন করেছে যাতে এগুলো ‘আর চুক্তির সংজ্ঞার আওতায় না পড়ে বা ‘রাশিয়ার পক্ষকে নির্ভরযোগ্যভাবে যাচাই করার সুযোগ না দিয়ে অস্ত্রগুলোর নাম রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেয়।’

অবশ্য মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে যে, চুক্তিটি স্থগিত করার রাশিয়ার সিদ্ধান্ত ‘পরিবর্তনযোগ্য’। তবে এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে ‘অবশ্যই রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখাতে হবে।’
সূত্র : এএফপি