জবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৩

জবিতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১৩

ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৬ষ্ঠ আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাথে লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলা চলাকালীন এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদশিরা। 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে নতুন তৈরি করা খেলার মাঠে প্রথম দফায় এবং খেলা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দ্বিতীয় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনায় পরবর্তীতে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীরাও সংঘর্ষে জড়ায় এবং বাংলা বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে দুই বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা চলাকালীন সময়ে বাংলা বি়ভাগের সাত নম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাকিব লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদকে ট্যাকেলের সময় ফাউল হয়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের মাসুদ রানা সাকিবকে কিল ঘুষি মারে। এসময় বাংলা বিভাগ ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দ্রুততম সময়ে দুই বিভাগের শিক্ষক ও খেলা পরিচালনাকারী মীমাংসা করে দেয়।

পরবর্তীতে খেলা শেষে বাংলা বিভাগের বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে পৌঁছালে লোকপ্রশাসন ও বাইরের বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাসে উঠে বাংলা বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ছেলেদের উপর এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এসময় অতর্কিত হামলায় বাংলা বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। 

এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের মাধ্যমে ফুটবল টিমের ম্যানেজার ড. রাজিব মণ্ডল উপাচার্য বরাবর অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগ পত্রে ঘটনা উল্লেখ করে লোকপ্রশাসন বিভাগের ১২তম ব্যাচের ছাত্র মাসুদ রানার নেতৃত্বে ১২তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র এম আই মারুফসহ আরো অনেকে বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালায় এবং এতে বাংলা বিভাগের প্রায় ১৩ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনায় আমরা দুইটি পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে।