বলেশ্বর নদীতে মাছধরার ট্রলারে ডাকাতি, আহত ১০

বলেশ্বর নদীতে মাছধরার ট্রলারে ডাকাতি, আহত ১০

সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ঘাটে যাওয়ার পথে বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে একটি নামবিহীন ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে ফিরে আসা জেলেরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বলেশ্বর নদীর রুহিতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতির শিকার ট্রলার মালিকের নাম রবিউল ইসলাম। ট্রলার মালিক ও জেলেদের বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি এলাকায়।

আহতরা হলেন আমিনুল ইসলাম মাঝি (৩৫), মহিদুল ইসলাম (৪৫), হাবিবুর রহমান (৩২), মুসা গাজী (৩৮), মো. বাচ্চু মিয়া (৩০), মো. তুহিন শেখ (৩০), মো. হাবিব (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৮), মো.ফরহাদ (২২) ও মিজানুর রহমান (৪০)। তাদের মধ্যে তুহিন, ফরহাদ, হাবিব ও বাচ্চুকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য ট্রলারসহ খুলনায় পাঠানো হয়েছে।

ফিরে আসা ট্রলারের জেলে আমিনুল মাঝি জানান, সাগরে মাছ শিকার করে বিক্রি করার জন্য ঘাটে ফেরার পথে ওই এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনটি ট্রলারে অন্তত ১২ জন লোক তাদের ট্রলার দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় ট্রলারটি সুন্দরবনের দিকে যায়। তখন ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

তিনি আরও জানান, জেলেরা মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে ট্রলারে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১২০ কেজি মাছ, তিন ব্যারেল তেল, তিনটি মোবাইল ফোনসহ রসদসামগ্রীসহ লুট করে নিয়ে যায়।

এ বিষয় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। আমার কাছে ডাকাতি হওয়া ট্রলারের জেলেরা এসেছিল। আমি আইনগত সহযোগিতা করার জন্য থানায় যেতে বলেছি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. শাফায়েত আবরার বলেন, ডাকাতির খবর আমরা পায়নি। তবে আহত জেলেদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।