গজারিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৮

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মাইক্রোবাসের সাথে কাভার্ডভ্যান ও বাসের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো আটজন।শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন মাইক্রোবাসের আরোহী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৬০), একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন (১০) ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পূর্ব মুনলিম পাড়া গ্রামের আজারুল জামান মিয়ার ছেলে বাস চালক জহিরুল ইসলাম (৪২)।

এ ঘটনায় আহত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার উত্তর বলরামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাস চালক গিয়াস উদ্দিন। এ সময় চালকসহ মাইক্রোবাসটিতে মোট ছয়জন আরোহী ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া (বক্তারকান্দি) এলাকায় পৌঁছালে পিছন থেকে একটি কাভার্ভভ্যান মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি উল্টে গিয়ে পাশের ঢাকাগামী লেনে গিয়ে পড়ে।

এ সময় খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকাগামী শান্তি পরিবহনের একটি বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায় মাইক্রোবাসটির দুই আরোহী দুলাল মিয়া এবং হোসাইন। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের অপর চার আরোহী এবং বাসের চালকসহ পাঁচজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালক জহিরুল মারা যায়।

আহতদের অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা হলেন মোমেন (৩৫), আক্তার হোসেন (৩০), আফরিন (১০), গিয়াস উদ্দিন (৫০), মেহেদী হাসান (২২), নাসরিন বেগম (৪৩), জাহানারা বেগম (৭০) ও রুবেল কর্মকার (৩৬)।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এ এস এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিহতদের লাশ এবং দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস ও বাসটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করেছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।