পাবনায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১০৯, শিশু ১৫৩

পাবনায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১০৯, শিশু ১৫৩

পাবনায় যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ১০৯, শিশু ১৫৩

যক্ষা রোগ নির্মূল ও প্রতিরোধে সাংবাদিকদের করণীয় শীর্ষক এক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।‘ফুসফুসে যক্ষায় আক্রান্ত রোগী কিংবা কফে যক্ষার জীবাণুবাহী ব্যক্তি যদি বিনা চিকিৎসায় থাকেন, তাহলে ওই ব্যক্তি বছরে অন্তত ১৫ জন মানুষকে যক্ষার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত করেন। দেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে প্রতিটি যক্ষা রোগীকে দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হবে।’

রোববার বেলা ১১ টায় পাবনা শহরের হাজী আখতারুজ্জামান টাওয়ারের মিডিয়া সেন্টারে প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে এই ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, পুরোপুরি বিনাপয়সায় ধৈর্য্য নিয়ে ওষুধ খেলে যক্ষা নির্মূল হয়। ২০২০ সালে সকল প্রকার যক্ষার রোগীর অনুমিত সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার। যক্ষা রোগের সকল প্রকার সনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৮৮০ জন। যক্ষায় মৃত্যুর অনুমিত সংখ্যা ৪৪ হাজার। নতুন এমডিআর টিবি রোগীর অনুমিত সংখ্যা ৩ হাজার ১০০ জন। বছরে প্রতি লাখে যক্ষা রোগীর সংখ্যা ২২১ জন। প্রতি বছরে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৪ জন। বর্তমানে দেশে যক্ষায় চিকিৎসার সফলতা ৯৪ শতাংশ।

কর্মশালায় জানানো হয়, ফুসফুসে যক্ষায় আক্রান্ত  রোগী কিংবা কফে যক্ষার জীবাণুযুক্ত ব্যক্তি যদি বিনা চিকিৎসায় থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি বছরে ১০/১৫ জন মানুষকে যক্ষার জীবাণুদ্বারা সংক্রমিত করে। দেশ থেকে যক্ষা নির্মূলে প্রতিটি যক্ষা রোগীকে দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা সম্পন্ন করতে হবে।

গভায় প্র্রধান অতিথি ছিলেন পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি রিসোর্সপার্সন ছিলেন পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ কামাল ও জেলা নাটাবের সদস্য, সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মি কামাল সিদ্দাকী।

এানসর চৌধুরী বলেন, একজন যক্ষ্মা রোগীকে ৬ মাস একাথাওে ওষুধ সেবন করতে হয়। কিন্ত ১৯/১৫দিন খাওয়ার পর যেই একটু ভালো হয়; তখনই ওষুধ সেবন বন্ধ কওের দেন।  এতে করে তার শরীরে যক্ষ্মা থেকেই যায়। যার কারণে তার পরিবার বা প্রতিবেশীর মধ্যে যক্ষা রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের এ রোগটি নির্ণয় করা দূরহ হয়ে পড়ে। যেখানে বাচ্চাদের ক্ষেতেে প্রায় ১০ শতাংশ রোগ শনাক্ত হওয়ার কথা; সেখানে মাত্র ২ শতাংশ শনাক্ত হয়ে থাকে। এজন্য অভিভাবকদের এব্যাপারে সচেতন হতে হবে। এ রোগটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পুষ্টি জাতীয় খাবারে উপর জোর দেয়ার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেণ। তামাক, বিড়ি, সিগারেট না খাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাবনা জেলা কারাগারের হাজতির মধ্যে ৮০ শতাংশই মাদকাষক্ত।  

স্বাগত বক্তব্য দেন নাটাবের রাজশাহী বিভাগীয় মাঠ কর্মকর্তা মোঃ শামীম রেজা। সভায় বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক এতে অংশ গ্রহণ করেন।পাবনা জেলার পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৩২ লাখ মানুষের মধ্যে ২০২২ সালে ৪ হাজার ১০৯ জন এবং ২৩ সালে এ পর্যন্ত ৭৪৮জনের যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২২ সালে শনাক্তের মধ্যে ১৫৩ জন শিশু রয়েছে।