কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব

দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়ীতে তিনদিনব্যপী চলা ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব শেষ হয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে  ৬ই মার্চ রাতে স্মরণোৎসব শেষ হলেও আজ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ণসেবা গ্রহনের মধ্যে দিয়ে সাধুরা আখড়াবাড়ী ত্যাগ করবেন।

গতকাল রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশাল এই উৎসবের সমাপ্তি ঘোষনা করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুর রশিদ। এ উপলক্ষ্যে লালন একাডেমির মূল মে  রাতের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নওরোজ হাসান তালুকদার, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম প্রমুখ।আলোচনা শেষে মূল মে  একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।

এদিকে ০৭ মার্চ পবিত্র সবেবরাতের কারনে এবারের লালন স্মরণোৎসব দোল-পুর্ণিমার দুই দিন আগে আয়োজন করা হয়েছিল। হিসাব অনুযায়ী গতকাল সোমবার ছিল দৌল পূর্ণিমা। দুইশ বছরের রেওয়াজ ধরে  গতকাল সন্ধায় অধিবাস আজ মঙ্গলবার সকালে বাল্য সেবা এবং দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্যেদিয়ে অষ্টপ্রহরের সাধুসঙ্গ শেষ হবে।

উল্লেখ্য, বাউলদের খাটি করে গড়ে তুলতে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দোল পূর্নিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা।