৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডের আগুন

৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডের আগুন

৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সীতাকুণ্ডের আগুন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি তুলার গোডাউনে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮ ঘণ্টা চেষ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে উপজেলার ছোট কুমিরার হিঙ্গুরী পাড়ায় ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ‘ইউনিটেক্স’-এর মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে এ ঘটনা ঘটে।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়বকুণ্ডের ইউনিটেক্স কোম্পানির ভাড়াকৃত গুদামের টিনের চালে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিল শ্রমিকরা। এ সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলার ওপরে পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছে তারা।

ইউনিটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহান আহম্মদ বলেন, ‘গুদামের পাশেই ন্যামসন কন্টেইনার ডিপো রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। গুদামে আমাদের প্রায় তিন হাজার টন তুলা ছিল। আমাদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।’

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ নূরুল আলম দুলাল বলেন, ‘খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড, কুমিরা, আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাছাকাছি গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। তীব্রতা বেশি থাকায় আগুন পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়েছে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আশপাশের কোনো পুকুর বা খালে পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে বেগ পেতে হয়েছে। তবে বিকেল ৫টার দিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরো সময় লাগবে।’

সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহম্মদ বলেন, একটি তুলার গুদামে কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে সংস্কার কাজ করা কোনো মতেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।