হাওড় এলাকায় তড়িঘড়ি করে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

হাওড় এলাকায় তড়িঘড়ি করে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

হাওড় এলাকায় তড়িঘড়ি করে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, হাওরের ফসল রক্ষায় তড়িঘড়ি করে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কারণ এর স্বতন্ত্রতা ও জীববৈচিত্রের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
আজ বুধবার প্রতিমন্ত্রী সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ।

তিনি বলেন, বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাধের কাজ শেষ করা সম্ভব না। আগে বাঁধে কাজের জন্য উপযোগী হতে হবে। অধিকাংশ হাওরে পানি নামতে অনেক দেরি করে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাওরের স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয় বহুল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। তিনি বলেন, মন্দার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই চলছে।তিনি আরও বলেন, শীঘ্রই হাওর এলাকার ১৯টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ৬শ কোটি টাকার আরো একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নিয়ে এতো কথা হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদার আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সামসুদ্দোহা প্রমুখ।প্রতিমন্ত্রী এ সময় দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধও পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ তৈরির জন্য আজ পর্যন্ত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন জেলার ৪ লক্ষাধিক কৃষক।

সূত্র : বাসস