আ’লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : মির্জা ফখরুল

আ’লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : মির্জা ফখরুল

আ’লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ এ দেশকে চরমভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এ কারণে তাদের জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলায়াতনে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত 'আমার রাজনীতির রোজনামচা' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনা ও প্রকাশনা উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ্ চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এমএ আব্দুলাহ, সাংবাদিক নেতা ও কবি আব্দুল হাই শিকদার, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রকাশক মো: মনিরুল হক নেতৃত্বে গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘অনন্যা’।মির্জা ফখরুল বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে। তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তাদের মতো করে ইতিহাস তৈরি করছে। এই সময়ে এই ধরণের গ্রন্থ প্রকাশ করা অত্যন্ত সাহসের প্রয়োজন।

মহাসচিব বলেন, আমরা এমন একটা লড়াই করছি। যে লড়াইটা কঠিন একটি শক্তির বিরুদ্ধে, যারা মানুষকে মর্যাদা দেয় না। যারা ফ্যাসিস্ট, যারা ইতিহাসকে বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। যারা সাম্য ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে না। তাদের বিরুদ্ধে আজ আমরা সংগ্রাম করছি।

‘কোন দেশে আছি, কোথায় দেশকে নিয়ে আসলাম! অন্যায় অবিচারের কারণে আওয়ামী লীগকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। কারণ তারা এ দেশকে চরমভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।’তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ভোট চোর নয়, এখন তারা সুপ্রিম কোর্টের ভোটও চুরি করেছে। পুলিশ দিয়ে হামলা করেছে, মামলা করেছে আইনজীবীদের নামে, যাতে তারা কোর্টে না যেতে পারে!

তিনি আরো বলেন, ‘আসলে এরা হচ্ছে প্যাথলজিক্যাল চোর। চুরি ছাড়া এদের আর কোনো কিছু নাই। চুরি করে এরা চলে, চুরি এদের নেশা-পেশা, সবই হচ্ছে চুরি। দেশকে তো ওরা চুরি করে ফোকলা করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে এমন চুরি করেছে ওখানে এখন কিছু আছে বলে মনে হয় না।’বিএনপি নেতা বলেন, দেশের মানুষ এই সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশের মানুষ চাল কিনতে পারে না। লবণ কিনতে পারে না। তেল কিনতে পারে না। সন্তানের মুখে আমিষ খাবার দিতে পারে না। সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার জন্য খাতা কলম, ব্যাগ কিনে দিতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, আমার দেশের ৪২ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। দেশের শতকরা ৮০ জন মানুষ আমিষ খেতে পারে না। গরুর মাংস কিনতে পারে না। খাসির মাংস কিনতে পারে না। মাসে হাত দিতে পারে না। সেই দেশে এই সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে! গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলছে! এতে আওয়ামী লীগের তো কোনো সমস্যা নেই। তারা তো জনগণের পকেট কাটছে, টাকা চুরি করছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, এই সরকার সবখানে থেকে লোন নিচ্ছে, টাকা ছাপাচ্ছে! টাকা চুরি করছে, রিজার্ভ থেকে ডলার চুরি করছে। কোন দিক থেকে কোনখানে বলবেন, এই সরকারের সাফল্য আছে? শুধু মুখ আর রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে। এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।