নাফনদীতে বিজিবির অভিযানে দুই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

নাফনদীতে বিজিবির অভিযানে দুই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা নাফনদীতে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ হ্নীলা বিওপি’র একটি সীমান্ত সুরক্ষা টহলদল দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১৩ থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে শশ্মানঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। কিছুক্ষণপর বিজিবি টহলদল মিয়ানমার থেকে একটি কাঠের নৌকা যোগে ৩/৪ জন ব্যক্তিকে সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাফনদীর কিনারায় কিছু বস্তা নামাতে দেখে। এতে বিজিবি টহলদল নৌকাটিকে চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় অবস্থানরত চোরাকারবারীরা বিজিবি’র চ্যালেঞ্জকে উপেক্ষা করে নৌকা নিয়ে মিয়ানমার সীমান্তের দিকে চলে যেতে থাকলে বিজিবি টহলদলের মধ্য হতে একজন বিজিবি সদস্য ফায়ার করে তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করে। এসময় সশস্ত্র চোরাকারবারীরাও বিজিবি টহলদলকে লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাফফোড়া দ্বীপের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া দু’টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর থেকে ২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারি কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ওই স্থানে অন্য কোনো অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারিকে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারিকে শনাক্ত করার জন্য এই ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, জব্দকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম শেষে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।