কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই মমতা-অখিলেশের ঐক্য

কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই মমতা-অখিলেশের ঐক্য

ফাইল ছবি

কংগ্রেসকে ছাড়াই ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনটি রাজনৈতিক দল। আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে এ জোট গঠন করা হয়েছে।

কলকাতায় শুক্রবার (১৮মার্চ) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তর প্রদেশভিত্তিক সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদবের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।

উত্তর প্রদেশের রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশের সঙ্গে বৈঠক করা মমতা আগামী সপ্তাহে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজু জনতা দলের প্রধান নবিন পট্টানায়েকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদের প্রধান মুখ হিসেবে দেখাতে বিজেপি যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তাকে প্রতিহত করতে চাইছেন মমতা ও তার মিত্ররা।

সস্প্রতি লন্ডনে দেয়া এক বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ভারতের পার্লামেন্টে কথা বলার সময় বিরোধী দলগুলোর নেতাদের মাইক্রোফোন মিউট করে দেয়া হয়। ওই বক্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে বলছে বিজেপি। এমন বাস্তবতায় কংগ্রেসের বাইরে অনেক বিরোধী দল মনে করছে, রাহুল গান্ধীর ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তাদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলটি।

এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাহুল গান্ধী বিদেশে মন্তব্য করেছেন এবং এর জেরে তার ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত বিজেপি পার্লামেন্টের কার্যক্রম চলতে দেবে না। এর অর্থ হলো তারা কংগ্রেসকে ব্যবহার করে পার্লামেন্টকে অকার্যকর করে রাখতে চায়। বিজেপি চায় রাহুল গান্ধীকে বিরোধীদের মুখ হিসেবে দেখাতে, যাতে তারা সুবিধা করতে পারে। (২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য) প্রধানমন্ত্রী পদে কাউকে ঠিক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো দরকার নেই।’

তিনি বলেন, কংগ্রেসকে বিরোধীদের ‘বিগ বস’মনে করাটা হবে ভুল।

নবীন আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩ মার্চ নবিন পট্টনায়েকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে অন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব।’

সুদীপের স্বরে কথা বলেছেন অখিলেশ যাদবও। তিনি বলেন, কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে একই দূরত্ব বজায় রাখতে চান তারা।

সূত্র: এনডিটিভি