কেন্দুয়ায় ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই, ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

কেন্দুয়ায় ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই, ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি

সংগৃহীত

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে দুটি সেমি পাকা ও এগারোটি টিনশেডের রয়েছে।

রবিবার দুপুরে উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের চৌকিধরা (নয়াপাড়া) গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কেন্দুয়া ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ বিপুল কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আগুনে নগদ টাকা, আসবাবপত্র ও মালামালসহ ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছ। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, রুবেল মিয়া, তোতা মিয়া, জবরিল মিয়া, সাইকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিয়া, বজলুর রহমান, মানিক মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তাকিম মিয়া, শরীফ মিয়া, হক মিয়া, খায়রুল ইসলাম ও রহিমা আক্তার।

তারা জানান, রবিবার দুপুর একটার দিকে গ্রামের রুবেল মিয়ার বসতঘরের বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। পরে দ্রুত পার্শ্ববর্তী বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে নিমিষেই ১৩টি বসতঘর পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত রহিমা আক্তার বলেন, সহায় সম্পদ বলতে বাড়িটা ছাড়া আমাদের তেমন কিছুই নাই। অনেক কষ্ট করে জীবন চালাই। কিন্তু সর্বনাশা আগুনে বসবাসের একমাত্র ঘরটাসহ ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ও সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। নতুন করে ঘর তৈরি করার সামর্থ নাই। খোলা আকাশের নিচেই থাকতে হবে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী জালাল ও স্থানীয় মোজাফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির আলম ভূঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির আলম ভূঞা বলেন, ঘটনাস্থলে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ নিয়েছি। সবকটি পরিবারই দরিদ্র। আমাদের সাধ্যমতো তাদের সহযোগিতা করব। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টিও কামনা করেন তিনি।

ইউএনও কাবেরী জালাল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আপাতত শুকনো খাবার ও কিছু কম্বল দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সময়ে তাদের জন্য ঢেউটিন ও নগদ টাকার ব্যবস্থা করা হবে।