মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য আমার দরজা বন্ধ, বললেন ক্ষুব্ধ এরদোয়ান

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য আমার দরজা বন্ধ, বললেন ক্ষুব্ধ এরদোয়ান

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান

সম্প্রতি তুরস্কের বিরোধীদলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামাল কিলিচদারওগ্লুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেফরি ফ্লেইক।

এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ হয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, “আঙ্কারায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য তার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।”

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “জো বাইডেনের প্রতিনিধি এখানে কি করছেন? তিনি মিস্টার কামালের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ধিক্কার আপনার জন্য, নিজের মেধা ব্যবহার করুন।”

আমেরিকা এবং তুরস্কের মধ্যে যখন বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ বেড়েই চলেছে তখন এরদোয়ান এই কথা বললেন।

তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে লক্ষ্য করে বলেন, “আপনি একজন রাষ্ট্রদূত। আপনার কথা হবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। কিন্তু এই ঘটনার পর আপনি কীভাবে আশা করেন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আপনি সাক্ষাৎ করবেন?”

এরপর এরদোয়ান বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের জন্য তার দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। তাকে তার সীমাবদ্ধতা জানতে দেওয়া দরকার।

আগামী ১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কিলিচদারওগ্লু বিরোধী ৬ দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরদোয়ানের সামনে তাকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবা হচ্ছে। তুর্কি বিভিন্ন সূত্র থেকে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে- তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি সফর করার প্রতিবাদে মার্চ মাসের প্রথম দিকে আঙ্কারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল। এর আগে রাশিয়ায় রাসায়নিক দ্রব্য, মাইক্রোচিপস এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী রফতানির জন্য মার্কিন সরকার আঙ্কারাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। সে সময় তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ ঘটনার নিন্দা জানান। এসব ঘটনায় আমেরিকা এবং তুরস্কের মধ্যে একের পর এক তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। 

সূত্র: মিডল ইস্ট আই, ব্লুমবার্গ, তাস