মুক্তি নিয়ে আদালত ছাড়লেন ট্রাম্প

মুক্তি নিয়ে আদালত ছাড়লেন ট্রাম্প

সংগৃহীত

পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়ালসকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুক্ষণ পর মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুক্তি পর নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালত চত্বর ছেড়েছেন তিনি। আদালতকক্ষে ট্রাম্প ৫৭ মিনিট ছিলেন বলে বিবিসি’র ধারণা।

বিবিসির খবরে বলা হয়, আদালদত থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেও তিনি এড়িয়ে যান। নিজ বাড়ি ফ্লোরিডায় ফিরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, আদালতে শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ প্রাথমিকভাব প্রমাণ হয়নি। পরে সার্বিক প্রক্রিয়া শেষে তিনি আদালত চত্বর ছেড়ে যান।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ম্যানহাটানের আদালতে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো না হলেও তার আঙুলের ছাপ নেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়।

কিছুক্ষণ পর বিচারকের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে কিছুটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। ট্রাম্পের সঙ্গে তার আইনজীবীরা ছিলেন। আদালতে খুব বেশি মানুষকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়নি। মাত্র পাঁচজন ফটোগ্রাফারকে আদালতকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। তারাও শুধুমাত্র ছবি তুলতে পারবেন, কোনো ভিডিও করতে পারবেন না।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ট্রাম্পের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে এখনও কিছু বলেননি। ট্রাম্পকে নিয়ে এই গোটা প্রক্রিয়াতে তিনি শুরু থেকেই নীরব ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম সাবেক কোনো প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারী মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেন।

পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়ালসের অভিযোগ, ২০০৬ সালে তিনি এবং ট্রাম্প শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এর পর ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার মুখ বন্ধ রাখতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ঘুষ মামলায় গত ৩০ মার্চ ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ অভিযোগ জোরালো হয়েছে।