চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানার ধর্ষণের মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরার আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ রুপকানিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড নজির আহম্মেদের বাড়ীর মো. জসিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম মো.ফারুক (২২) ও পটিয়া উপজেলার আজিমপুর শেখ পাড়ার মো. ঈসমাইলের ছেলে মো. বদিউল আলম (৪৬)।  

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পিপি এমএ নাসের চৌধুরী বলেন, ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণে ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি সাইফুল ইসলাম মো. ফারুককে ধর্ষণের্র দায়ে ও মো. বদিউল আলমকে ধর্ষণের সহযোগিতা করায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। বর্তমানে আসামি মো.ফারুক পলাতক রয়েছে। রায়ের সময় মো. বদিউল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা নথি সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার এক তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুন নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় নিয়ে আসে মো. ফারুক। একইদিন নগরের বহদ্দারহাট থেকে বাসায় নিয়ে যাবে বলে নগরের সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি ডিটি রোড হাজী মঞ্জিলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে আটক রেখে ধর্ষণের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে বাসার তালা বন্ধ করে ফারুক চলে যায়। দুই দিন পর ২৬ জুন বাসার দরজার তালা খুলে তরুণীকে বিভিন্ন সময় দফায় দফায় জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে মো. বদিউল আলমের কাছে হস্তান্তর করে। পতিতাবৃত্তি পেশা অবলম্বন করার জন্য প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে হত্যা করে ফেলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চড় মারে। এছাড়াও ঘটনার দিন ফ্ল্যাটে অজ্ঞাতনামা দুই-তিনজন মহিলাদের সঙ্গে দেখা হয়। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা মহিলারা জানায়, পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে পার্শ্বস্থানে নিয়ে এসেছে। অজ্ঞাতনামা মহিলাদের সহায়তায় তরুণীর বাবাকে কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানাই। পরে সদরঘাট থানার টহলরত পুলিশের সহায়তায় তরুণীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তরুণী নিজে বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ রুহুল  আমিন ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন